Thursday 31 October 2013

১০ ওভারে হাসিনা-খালেদার টেলিম্যাচের ধারাবিবরণী: শফিক রেহমান

শনিবার ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ছ’টা একুশ মিনিটে মোহাম্মদপুরে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুলশানে বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়ার বাসভবনে টেলিফোন সংলাপের পর থেকে বিভিন্ন মাধ্যম ও সূত্রে খণ্ডিত উদ্ধৃতি পাওয়া যাচ্ছিল। এসব খণ্ডিত উক্তিতে দেশবাসীর ঔৎসুক্য চরমে পৌছেছিল। সবাই জানতে চাচ্ছিল হাসিনা কি বলছেন? খালেদা কি বলেছেন? পুরোটাই। 
কারণ দুই নেত্রীর এই টেলি সংলাপের ওপরই নির্ভর করছিল দেশবাসীর ভবিষ্যৎ। নির্ভর করছিল দেশবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সাধারণ নির্বাচন আগামীতে হবে কি না। শুক্রবার ২৫ অক্টোবরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ১৮ দলীয় জোটের জনসভায় খালেদা জিয়া আহূত দেশ জুড়ে একটানা ৬০ ঘণ্টার হরতাল শুরু হয়ে যায় রোববার ২৭ অক্টোবর থেকে।

Could a military operation have saved the day? : Brig Gen Sharif Aziz, psc (retd)

Almost five years have passed but sentiments and emotion are still running high in the absence of military action to quell the BDR mutiny

  •  The case for an armed response that could have prevented the massacre during the BDR mutiny in February 2009 and saved many innocent lives
    Photo- Syed Zakir Hossain
The memory is vivid and fresh: 2009 February 25. As many as 57 officers were brutally murdered. This day will go down in the history of Bangladesh as one of the most infamous days. Why so many lives had to be sacrificed is the question that will always haunt us.

‘সংখ্যালঘু নির্যাতন বেশি ঘটেছে মহাজোট সরকারের আমলে’

31 Oct, 2013
মহাজোট সরকারের আমলে দেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ মাইনরিটি পার্র্টির সভাপতি শচীন্দ্র লাল দে। তিনি চলতি বছরের এক পরিসংখ্যান উল্লেখ্য করে বলেন, এবার ৪৭৮টি মঠ ও মন্দির, ১২৪টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. বিশ্বনাথ সরকার।

মাইনরিটি পার্র্টির সভাপতি শচীন্দ্র লাল দে বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে চট্টগ্রামের নদীরহাট, বাঁশখালী, রামু, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের চাকরদাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘুদের মঠ, মন্দির ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাপক হামলা, অগ্নিসংযোগ- লুটপাট হয়েছে।১৭ জন কুমারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে; তাদের মধ্যে আটজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

শচীন্দ্র লাল দে বলেন, দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। এই পরিস্থিতিতে সব দল ও মতের লোকজনের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে শঙ্কা ও রাহুমুক্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Wednesday 30 October 2013

আওয়ামী সরকারের ইসলাম ফোবিয়া

আওয়ামী লীগ ও অস্তিত্বের সঙ্কটে থাকা বামদের নিয়ে গঠিত মহাজোট সরকার পুরো মেয়াদজুড়েই ইসলাম ফোবিয়ায় ভুগছে। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ইসলামী মূল্যবোধ নির্মূল করে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ও ধর্মহীন অপসংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় মরিয়া হয়ে কাজ করছে এ সরকার। আদালত ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সরকার ইসলামী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের কিনারে নিয়ে আসে। এ সময় সরকারি মহলের চরম বিদ্বেষের শিকার হয় ইসলাম, ইসলামী ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানগুলো। কোরআন-সুন্নাহবিরোধী আইন না করা ও আলেম-ওলামাদের নির্যাতন না করার নির্বাহী ইশতেহারের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নানা অজুহাতে মাদরাসা বন্ধ করার পাশাপাশি অসংখ্য আলেম-ওলামাকে হত্যা করে এ সরকার। 

Tuesday 29 October 2013

একুশে ফেব্রুয়ারিতে শেখ মুজিবুর রহমান

গত ১৭ই ফেব্রুয়ারী ঢাকায় আয়োজিত আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাবী করেন ভাষা আন্দোলনের পথিকৃত ছিলেন তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। ‍একইভাবে গতবছর আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাএকইরূপ দাবী করেন।


     ২১ ফেব্রুয়ারী ১৯৫২, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা, রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার দাবীতে ছাত্রদের ঐতিহাসিক সভা


এ ছাড়াও সরকারী হ্যান্ডআউটের বরাতে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা পরিবেশন করে, "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।" সরকারী এসব দাবীর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার প্রেক্ষাপটে প্রখ্যাত রাজনীতিক ও কলামিষ্ট বদরুদ্দিন ওমরের লেখাটি আমার দেশ পত্রিকার সৌজন্যে প্রকাশিত হলো।

লেখক : বদরুদ্দীন উমর
একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমীর বইমেলা উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রীতি অনুযায়ী এক ভাষণ দিয়েছেন।

BDR Carnage - Inquiry Report by A Brigadier General

Preface

The day before the mutiny at the Peelkhana headquarters of the BDR started, I came back to Dhaka after a short visit to my district town in North Bengal. I have retired from the Bangladesh army almost a decade ago. Since then, I have been living the life of a pensioner, enjoying a life of leisure playing golf, reading books and journals and doing a bit of charitable work. On that day, as usual, early in the morning after Fazar prayer and a quick cup of tea, I went to play golf and came back home around half past nine. After shower, while having breakfast with my wife and browsing the morning paper, there came a telephone call. My wife took the call at the other end of the drawing-dinner. There was nothing unusual in having a telephone call or two at this hour of the day. I continued sipping tea and going through the newspaper without lending my ear to the conversation my wife was having. But she came back to the dinning table wearing an anxious look on her otherwise radiant face. I gave her an asking glance.

RAW is turning Bangladesh into A battle field for Indian Interests

logo of Indian Secret Agency RAW(Research and Analysis Wing)

(Dedicated the Article in honor of the assassinated 56 Military officers in Pilkhana in Feb 25-26th, 2010)

Introduction:Indian RAW and Bangladeshi DGFI-NSI Jointly operate in Bangladesh that indicates a new reality where the doubts are raising heads from the smokes.

Questions:

1. Is Bangladesh government really gone under Indian government's command and control?

2. Is Bangladesh commanded by Indian Arm forces?

গার্ডিয়ানের রিপোর্ট: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দক্ষিণ এশিয়ার বধ্যভূমি



মানবজমিন ডেস্ক: বাংলাদেশ সীমান্তে ভারত গুলি করে হত্যার নীতি নিয়েছে। শুধু তাই-ই নয়। এই সীমান্তকে দক্ষিণ এশিয়ার এক বধ্যভূমি বানানো হয়েছে। ২৩শে জানুয়ারি অনলাইন গার্ডিয়ানে প্রকাশিত ‘ইন্ডিয়াস শুট-টু-কিল পলিসি অন দ্য বাংলাদেশ বর্ডার’ শীর্ষক এক রিপোর্টে এসব কথা বলা হয়েছে।
এর লেখক ব্রাড এডামস। তিনি লিখেছেন, সীমান্তে গত ১০ বছরে ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীরা প্রায় ১০০০ মানুষ হত্যা করেছে। এর বেশির ভাগই বাংলাদেশী। কিন্তু এসব হত্যায় যারা জড়িত তাদের কারও কোন বিচার হয়নি। ওই রিপোর্টে প্রশ্ন তোলা হয়েছে- ভাল কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করলেই কি ভাল প্রতিবেশী হওয়া যায়?

Thrill of the chaste: The truth about Gandhi's sex life

With religious chastity under scrutiny, a new book throws light on Gandhi's practice of sleeping next to naked girls. In fact, he was sex-mad, writes biographer Jad Adams

No sex please: Gandhi, above, 'tested' himself by sleeping with naked grand-nieces Manu, left, and Abha, right

It was no secret that Mohandas Gandhi had an unusual sex life. He spoke constantly of sex and gave detailed, often provocative, instructions to his followers as to how to they might best observe chastity. And his views were not always popular; "abnormal and unnatural" was how the first Prime Minister of independent India, Jawaharlal Nehru, described Gandhi's advice to newlyweds to stay celibate for the sake of their souls.

পার্বত্য চট্রগ্রামকে পুর্ব-তিমুর/দক্ষিণ সুদানের মতো বিচ্ছিন্ন করে আরেকটি ইসরাইল বানানো হবে ?


ছবিঃ দেশের এক-দশমাংশ এলাকা নিয়ে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম কি পুর্ব-তিমুর, দক্ষিন সুদানের মতো বিচ্ছিন্ন করা হবে নাকি আরেকটি ইসরাইল বানানো হবে

আমাদের ক্লাসের সুদানী মেধাবী মেয়ে রাগাত। বাবা-মায়ের সাথে সৌদিতে পড়ালেখা করলেও এখন মাষ্টার্স ছাত্র হিসেবে পড়াশুনা করে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ইউনিভার্সিটিতে। গত মধ্য ফ্রেব্রয়ারীতে তিউনেশিয়া, মিশর বিপ্লবের তাজা ও উদ্দিপনামুলক খবরের মাঝেও তার মন বেশ খারাপ। কারন জিজ্ঞেস করলেই বললো, বিশাল সুদানকে ভেজ্ঞে টুকরো টুকরো করা হচ্ছে। শুধু মাত্র খৃষ্টান অধ্যুষিত হওয়ার কারনেই দক্ষিণ সুদানকে পশ্চিমা শক্তি আলাদা করে এককালের আফ্রিকার বৃহত দেশ (আয়তনে) সুদান ভেজ্ঞে দুর্বল করে ফেললো। রাগাত আরো জানালো, দক্ষিণ সুদানে অনেক খনিজ সম্পদ আছে যা নিয়ন্ত্রন করার জন্য দেশটিকে বহুবছর থেকে পশ্চি্মা খৃষ্টানরা নানা প্রচেষ্টার মাধ্যমে ধর্মান্তরিকরনের কাজটি করেছে। দক্ষিণ সুদানকে বিশ্বমোড়ল একদিন স্বাধীন করেই দিবে এটা এতোদিন আমরা বিশ্বাস করতে ও বুঝতে না পারলেও এখন বুঝি।যখন বুঝি, তখন কিছুই করার নেই। এরা আসলেই আমাদের টুকুরো টুকরো করার জন্য এতোদিন ধরে কাজ করেছিল।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার নেপথ্যের অন্যতম নায়ক প্রথমআলো সম্পাদক কী ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকবেন?


২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার নেপথ্য নায়কদের অন্যতম হিসেবে বার বার বিভিন্ন পর্যায়ে নাম উঠে আসলেও দৈনিক প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বর্বরোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার অন্যতম হোতা বলে চিহ্নিত জঙ্গি নেতা মাওলানা তাজউদ্দিনকে যে র‍্যাব খুঁজছে, তা তাকে আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও একই পত্রিকার সাংবাদিক টিপু সুলতান। তাজউদ্দিনকে তাঁরা ওই তথ্য জানান দিয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, বিএনপিকে সহায়তা করার জন্য তাজউদ্দিনকে দিয়ে একটি নতুন রাজনৈতিক দল করার ব্যাপারেও মতিউর রহমান তার সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন।
নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নেতা তাজউদ্দিনের সঙ্গে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের এই ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার অন্যতম আসামি সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর(জঙ্গি নেতা তাজউদ্দিনের বড় ভাই) জবানবন্দি থেকে।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন(EVM) - একটি ডিজিটাল প্রতারণা



এরপরও নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হচ্ছে এই পদ্ধতিতে কারচুপি সম্ভব নয়-যা খুব সন্দেহজনক

যাই হোক, এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে এবং অনেক তথ্যসমৃধ্য লিখা পড়তে নিচের লিঙ্কগুলো দেখুনঃ

  • ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (EVM) : নির্বাচনের আগেই বিতর্কের সমাধান হোক
http://www.shahriar.info/post-item/1844.html

  • চসিক(চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন: ফলাফল পাল্টে দেয়ার আশংকা
http://www.shahriar.info/post-item/1749.html

  • ইভিএম ভোটিং - একটি ডিজিটাল প্রতারণা!!
http://sonarbangladesh.com/blog/mugur56/45525

  • Electronic voting machine (EVM): The cheat box
When all over the world the use of EVM is banned ,Bangladesh Election Commission is going to use EVM in public election
http://bangladesh-web.com/view.php?hidRecord=322646

  • ইভিএমে কারচুপি সম্ভব, দাবি মার্কিন বিশেষজ্ঞদের
http://anandabazar-unicode.appspot.com/proxy?p=archive%2F1100813%2F13desh7.htm

  • যে কারনে তাহারা ইভিএম চালু করিতে চাহেন......
http://www.facebook.com/note.php?note_id=215433495154436

আমাদের এই মারামারি-কাটাকাটির রাজনীতির কারণে পরবর্তিতে যখন জাতীয় নির্বাচন হবে তখন যেই দল নির্বাচনে হারবে সেই দল থেকেই অভিযোগ করা হবে নির্বাচনে 'ডিজিটাল কারচুপি' হয়েছে এবং তারা নির্বাচন বয়কট পর্যন্তও করতে পারে। তাই আসুন এসব কিছুর আগেই আমরা সাধারণ জনগণরা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যপারে নিজেরা সচেতন হই।

আপনাদের লিখাটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন সবার সাথে।

একজন গওহর রিজভী



এম আবদুল্লাহ


বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ৩৯ বছর তাকে এদেশে দেখা গেছে কমই। তবে বছর দেড়েক ধরে বাংলাদেশের সরকার তার উপস্থিতি অনুভব করছে প্রবলভাবে। আর নিজেকে তর্কে-বিতর্কে জড়িয়ে ফেলছেন অনায়াসে। ব্রিটেন ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী তিনি। তবে তার স্থায়ী ঠিকানা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যামব্রিজের ৭৯নং জন এফ কেনেডি স্ট্রিট। বড় একটা সময় কেটেছে ভারতে। লেখালেখি, ধ্যান-জ্ঞান, গবেষণা সবই ভারতকে ঘিরে। স্ত্রী ইতালির। পারিবারিক প্রধান ভাষা উর্দু, হিন্দি। সালামের পরিবর্তে ‘আদাব’ বলে সম্ভাষণ জানাতে অভ্যস্ত। ধর্মবিশ্বাসে কাদিয়ানী। সব মিলিয়ে এক রহস্যময় চরিত্র। বাংলাদেশের এ সময়ের সবচেয়ে ব্যস্ত ও প্রভাবশালী ব্যক্তি ড. গওহর রিজভী।

The Jewish roots of the Saudi Royal Family

The House of Saud refers to the royal family of Saudi Arabia. While the modern nation of Saudi Arabia was established in 1932, the House of Saud has been around for much longer. Prior to Ibn Saud, this family ruled the Nejd and often came into conflict with the Ottoman Empire and the Rashidis. The House of Saud is also linked with Wahhabism through the marriage of the son of Muhammad ibn Saud with the daughter of Muhammad ibn Abd al Wahhab in 1744.

The history of the House of Saud has been marked by a desire to unify the Arabian Peninsula and to spread a more pure and simple view of Islam embodied by Wahhabism. As such, the House of Saud has gone through three phases: the First Saudi State, theSecond Saudi State, and the modern nation of Saudi Arabia.

Power handover to Awami League in 2008 election was pre-planned : WikiLeaks



Interim regime planned before polls power handover to AL

The military-controlled interim regime,  at least two days before the December 29, 2008 general elections, had planned to hand over power to the Awami League and its leaders Sheikh Hasina on January 10, 2009.
An adviser to the interim regime on December 27, 2008 disclosed the plan to the then US ambassador in Dhaka James F Moriarty.
Moriarty said this in a diplomatic cable he sent to Washington on December 28, 2009 which was released by WikiLeaks on August 30, 2011.

Truth behind BDR Pilkhana Killing... 11 Parts Together

BDR Mutiny and Massacre Part -1
PROLOGU
Entire Bangladesh is convinced that “Peelkhana massacre was the outcome of a long and deep-rooted conspiracy.” But there is a mystery shrouding the background of Peelkhana carnage. Somehow or the other, people of Bangladesh do not still know the entire truth. This article endeavors to un-shroud the hidden truth. Purpose is not to vindicate anyone, the pure purpose is to erase the lies and bring the truth to the open. You are not required to believe whatever follows. It is totally up to your judgment. If you believe, you may pass it on to persons who may try to spread the message so that justice, the rarest phenomenon on planet earth, may see light in Bangladesh—today, tomorrow or year after. If you don’t believe this article, utter a curse and just put this article into trash and forget it.
See more
SOME STIRRING THOUGHT
1. On 24th February between 10pm and 11pm Mr Ataur, the owner of a filling station at Jhikatola, gave a call to DG BDR Shakil over mobile and said, “Sir, apnakey kalkey Peelkhanay mere felbe. Apni kalker onushthaney jaben na.” The recorded conversation was spotted by RAB Headquarter and Mr Ataur was immediately taken into custody. This information was disclosed to the TFI cell members by Colonel Rezanur himself. Later Mr Ataur was released and nowhere his statement has been included in the inquiries.•

সুচন্দা ও ববিতার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশঃ বড় বড় নেতার কুকীর্তি ফাঁস করে দেয়ার কথা বলার পরই জহির নিখোঁজ হন

দেশের অন্যতম কৃতী চলচ্চিত্রকার, লেখক ও শহীদ বুদ্ধিজীবী জহির রায়হানের হাত ধরে আমাদের চলচ্চিত্র সমৃদ্ধ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বেশকিছু তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন, যা দর্শক দেখার সুযোগ পায়নি। দেশ স্বাধীনের পর তিনি নিখোঁজ হন। সেই থেকে আজও নিরুদ্দেশ।

দেখুনঃ বড় বড় নেতার কুকীর্তি ফাঁস করে দেয়ার কথা বলার পরই জহির নিখোঁজ হন

মুক্তিযুদ্ধের একজন সেকটর কমান্ডার মেজর জলিল তার "জ়লিল রচনাবলি" টিতে যা লিখেছেন তা তুলে ধরছি এখানে-

এ প্রসঙ্গে নিউইয়র্কের বাংলা পত্রিকা 'ঠিকানা'র সঙ্গে সম্প্রতি মন খুলে না বলা অনেক কথা বলেছেন জহির রায়হানের স্ত্রী অভিনেত্রী কোহিনূর আক্তার সুচন্দা ও তার বোন ফরিদা আক্তার ববিতা। চলচ্চিত্রে তাদের দু'জনের পথচলা জহির রায়হানের হাত ধরেই। সাক্ষাৎকারটিতে তারা দিয়েছেন জহির রায়হান নিখোঁজ হওয়া সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য।


 সুচন্দা বলেন , জহির কোনো পাণ্ডুলিপি রচনার সময় আমাকে পাশে বসাত। এক পাতা লেখা হলে আমাকে দেখাত। আমি বাংলায় মোটামুটি ভালো ছিলাম। আমি যখন দু'এক জায়গায় সামান্য পরিবর্তন করতাম তখন জহির বলত, তোমার তো খুব ভালো আইডিয়া আছে। বিশেষ করে সংলাপের ক্ষেত্রে। যুদ্ধের দিনকয়েক আগে একদিন ও বলল_ আমি শরৎচন্দ্রের 'দেবদাস' গল্পটির চিত্রনাট্য করে দেব তুমি পরিচালনা করবে। আমার বাচ্চারা খুব ছোট। তখন আমার ছবি পরিচালনায় অভিজ্ঞতা ও আগ্রহ তেমন ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা কলকাতায় চলে যাই। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জহির ছবি তৈরি করার কথা বলে একাই বিশেষ বিমানে বাংলাদেশে চলে আসে।  তার কাছে মুক্তিযুদ্ধের অসংখ্য ভিডিও ক্লিপ ছিল।  এর মধ্যে কিছু কিছু প্রচার করে জহির ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। বাংলাদেশে আসার পর ১৫ দিনের মধ্যে তার কোনো খবর আমরা পাইনি। এদিকে ঘরে খাবার, টাকা-পয়সা নেই। ওই সময় চলচ্চিত্রকার আলমগীর কবীর আমাদের বেশ সহযোগিতা করেন।

একদিন শুনলাম  জহিরের বড় ভাই শহীদুল্লাহ কায়সারকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে গেছে । ভাইকে নিয়ে তিনি ব্যস্ত। ভাইকে খুঁজতে গিয়ে আমাদের কথা তিনি ভুলেই গিয়েছিলেন। আমরা বাংলাদেশে চলে আসি। জহির প্রতিদিন তার সহকর্মীদের নিয়ে নানা পরিকল্পনা করত। ওই সময় বাসায় টেলিফোন করে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হলো। জহির আমাদের কিছুই বলত না।  আজও তিনি ফিরে আসেননি। তার মৃতদেহও আমরা পাইনি

 কাউকে কি সন্দেহ হয়  এ প্রশ্নে সুচন্দা বলেন:  বিষয়টি আড়ালে রয়ে গেছে, আমি জহিরকে মনের অন্তরালেই রাখতে চাই। সব কথা সবসময় বলা যায় না। যে বিপদটা তার জীবনে এসেছিল। তিনি প্রেসক্লাবে দাঁড়িয়ে এক বক্তব্যে বলেছিলেন, 'যারা এখন বড় বড় কথা বলেন, নিজেদের বড় নেতা মনে করেন_ তাদের কীর্তি-কাহিনী, কলকাতায় কে কি করেছিলেন, তার ডকুমেন্ট আমার কাছে রয়েছে। তাদের মুখোশ আমি খুলে দেব।' এ কথা বলার পরই তার ওপর বিপদ নেমে আসে।

একই প্রশ্নের জবাবে  ববিতা  বলেন,  জহির ভাইকে বলা হয়েছিল, তোমার ভাই শহীদুল্লাহ কায়সার জীবিত আছেন। তার চোখ উৎপাটন করে মিরপুর ১১ নম্বর সেক্টরে একটি বাড়িতে রাখা হয়েছে। তুমি যে তোমার ভাইকে উদ্ধার করতে যাচ্ছ এটা তোমার পরিবারের সদস্যদের বলো না।

দিনটি স্মৃতি সম্পর্কে সুচন্দা বলেন, জহির যখন যায় তখনকার দু'তিনটি স্মৃতি আমার মনে এখনো গেঁথে আছে, যেটা কোনোদিনই ভুলার নয়। আমি বুঝতেই পারিনি যে, আমার স্বামীকে হারাতে যাচ্ছি। মনে হচ্ছিল এখনই সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে এসে আমাকে ডাকবে_ সুচন্দা দরজা খুল, আমি এসেছি। এভাবেই কেটে গেল অনেক দিন। জহিরকে কে মারবে? এ দেশের সবাই জহির রায়হানকে চেনে। তাকে কারা ডেকে নিয়ে গিয়েছিল এ সম্পর্কে ববিতা বলেন_ জহির ভাই যেদিন বাসা থেকে বের হয়ে যান সেদিন  একজন ভারতীয় ব্রিগেডিয়ার  তার সঙ্গে ছিলেন এবং ওইদিন রাতেই আমাদের বাসায় ডিনার ছিল।  তিনিই আমাদের ফোন করে জানান, সরি তোমাদের ডিনারে যাওয়া হচ্ছে না। আমি জহিরের সঙ্গে যাচ্ছি।


সুচন্দা বলেন_ ঘটনার দিন সকালে আমাদের বাসায় একজন লোক আসে। তড়িঘড়ি জহির তার সঙ্গে বেরিয়ে যায়। ওইদিন বাংলাদেশে ভারতের বিখ্যাত অভিনেত্রী নার্গিস, ওয়াহিদা রহমান, লতা মুঙ্গেশকর এফডিসিতে এসেছিলেন। হাসান ইমাম আমাকে ফোন করে বললেন, ম্যাডাম_ জহির ভাই কোথায়? আমি বললাম জহির বাইরে গেছে।

তিনি বললেন, জহির ভাই না হলে তো হবে না। তবে উনি যেহেতু নেই, আপনাকে তো অবশ্যই আসতে হবে। এত বড় বড় শিল্পী এসেছেন আপনি এবং জহির ভাই না এলে কেমন দেখায়? এফডিসি থেকে আসার পর আমি দেখলাম সবাই বসে রয়েছেন। টেলিফোন সেট সামনে। আমি বাসার লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলাম_ তোমাদের মেজদা কোথায়? তারা বলল, মেজদা তো মিরপুর গেছেন, আমাদের সঙ্গে নেননি। উনার তো এখনো কোনো খোঁজ নেই। আমি বললাম, খোঁজ নেই মানে? তারা মিরপুর থানায় মেজর মইন এবং মেজর মতিউর রহমানের সঙ্গে কথা বলি। উনারা জানান, উনিতো অপারেশনে আমাদের পুলিশ এবং আর্মির সঙ্গে ভেতরে ঢুকেছেন;   কিন্তু ওখানে একটু গণ্ডগোল ও গোলাগুলি হয়েছে, উনাকে পাওয়া যাচ্ছে না।  আমি বললাম, উনাকে পাওয়া যাচ্ছে না মানে? তারা আরও জানাল, আমাদের অনেক লোক উন্ডেড হয়েছে, এ কথা বলেই টেলিফোন রেখে দিলেন। পরবর্তীতে আমি মেজর মইন এবং মতিউর রহমানের সঙ্গে দেখা করতে যাই। তাদের কাছে জানতে চাই_ জহির কোথায় গেল, কীভাবে গেল? উনারা উত্তর দিতে পারেননি। আমি কাঁদতে কাঁদতে চলে আসি। আমি কল্পনাই করতে পারিনি জহির আর ফিরে আসবে না। অনেক খুঁজেও আমরা জহিরকে পাইনি। এনা, নিউইয়র্ক


এছাড়াও 'বাংলাদেশ প্রতিদিন' পত্রিকায় খবরটি এসেছিল।
বড় বড় নেতার মুখোশ খুলে দিতে চাওয়ায় নিখোঁজ হন জহির রায়হান

'ঠিকানা' পত্রিকার খবরটি এখান থেকে পড়ুন

মেজর (অব.) এম. এ. জলিল এর রচিত 'অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা' বইটি এখানে পাবেন

Monday 28 October 2013

এক্সক্লুসিভ:উইকিলিকসের চাঞ্চল্যকর তথ্য..হাসিনা,আওয়ামীলীগ ও RAW বিডিয়ার হত্যাকান্ডে জড়িত

২৫ ফেব্রুআরির পিলখানায় নারকিয় সেনা হত্যাযঙ্গের কথা আজও ভুলতে পারেনি জাতি। কি হয়েছিল সেদিন? কারা বা কাদের নির্দেশে এই হত্যাযঙ্গ সংগঠিত হয়েছিল?? উইকিলিকসের সেই কথাটিই ব্লাসট করে দিল। নিচে পড়তে থাকুন>>
সেনা হত্যা নিয়ে সেনাবাহিনীর গঠিত তদন্ত রিপোর্টে মোটামুটি উঠে এসেছিল সব কিছু। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হাসিনা সে তদন্ত রিপোর্ট বাতিল করে দিয়েছে। তবে অনলাইনের কল্যানে জনগণ সব জেনে গেছে ভেতরের গোপন কথা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিটি সৈনিক ও অফিসার জানে – কেনো, কোন্ পরিকল্পনায়, কারা পিলখানায় ৫৭ সেনা অফিসার হত্যা করেছে। সেটাই সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হলো।
১. RAW: ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘R&AW’এর পরিকল্পনায় ও ব্যবস্থাপনায় ”পিলখানা হত্যাকান্ড” ঘটে। এর মূল লক্ষ ছিল- পাদুয়া ও রৌমারীর ঘটনার বদলা নেয়া এবং বিডিআর বাহিনী ধংস করে দেয়া। ২০০১ সালের এপ্রিল মাসে কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বিডিআর-বিএসএফ যুদ্ধে ১৫০ জন বিএসএফ নিহত হয়। এর আগে পাদুয়ায় নিহত হয় ১৫ বিএসএফ। বিডিআর ডিজি মেজর জেনারেল এএলএম ফজলুর রহমানের নির্দেশে ঐ যুদ্ধে অংশ নেয় বিডিআর। ঐ ঘটনার পরে ভারতীয় ডিফেন্স মিনিষ্টার জসবন্ত সিং উত্তপ্ত লোকসভায় জানান, ”এ ঘটনার বদলা নেয়া হবে।” লক্ষ করুন, ১৯৭১ সালে যে সব শর্তে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত সামরিক সাহায্য দেয়, তার অন্যতম শর্ত ছিল “Frontier Guards will be disbanded” (CIA Report SC 7941/71). অর্থাৎ বাংলাদেশের কোনো বর্ডার গার্ড থাকবে না। কিন্তু স্বাধীনতার পরে নানা কারনে পাকিস্তান রাইফেলস বালাদেশ রাইফেলসে (বিডিআর) রূপ নেয়। বিডিআর বাহিনীটি ছিলো আধাসামরিক বাহিনী, যার মূল কমান্ড ও ট্রেনিং ছিলো সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের মত। অন্যদিকে ভারতের বিএসএফ ছিলো সিভিল বাহিনী, যাদের ট্রেনিং, জনবল সবই ছিলো নিম্নমানের। এসব কারনে বর্ডারে কোনো যু্দ্ধ হলে তাতে বিডিআর সামরিক পেশাদারিত্ব দিয়ে বিজয়ী হত।
পাদুয়া-রৌমারীর বদলা নেয়ার জন্য বিডিআর বাহিনী ধংস করার পরিকল্পনা করে ভারত। এ লক্ষে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী সময়টিকে বেছে নেয়া হয়- যখন হাসিনার নতুন সরকারের ক্ষমতা গ্রহনের পর পর নাজুক সময়। অনেকেই মনে করেন, ভারতীয় পরিকল্পনায় নির্বাচন ছাড়া অপ্রত্যাশিত পদ্ধতিতে হাসিনাকে ক্ষমতায় বসানোর নানা শর্তের মধ্যে একটি গোপন শর্ত থাকতে পারে “বিডিআর ধংস করা।” চুড়ান্ত রিস্ক থাকা স্বত্ত্বেও হাসিনাকে তা মেনে নিতে হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী বিডিআর সৈনিকদের দাবীদাওয়ার আড়ালে মুল প্লানটি বাস্তবায়নের জন্য মোট ৬০ কোটি রুপী বরাদ্দ করে ভারত। এর মধ্যে পিলখানায় ১৫ থেকে ১৭ কোটি টাকা বিলি হয়, যাতে প্রতিটি অফিসারের মাথার বদলে ৪ লক্ষ টাকা ইনাম নির্ধারন করা হয়। ১৯ ও ২১ ফেব্রুয়ারী ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার বাছাই করা ১৫ জন শুটারকে বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হয়, যারা পশ্চিম বঙ্গ সরকারের পাঠানো (প্রেমের নিদর্শন) ১ লক্ষ মিষ্টির সাথে বাংলাদেশে ঢুকে। একজন বেসামরিক দর্জি’র কাছ থেকে বিডিআর এর পোশাক বানিয়ে বিডিআর সপ্তাহ উপলক্ষে পিলখানায় উপস্থিত থাকে শুটাররা। তাদের দায়িত্ব ছিলো লাল টেপওয়ালা (কর্নেল ও তদুর্ধ) অফিসারদের হত্যা করা। তারা একটি বেডফোর্ড ট্রাক ব্যাবহার করে ৪ নং গেইট দিয়ে প্রবেশ করে ২৫ তারিখ সকালে। ঘটনার দিন সকাল ১১টায় বাংলাদেশের কোনো সংবাদ মাধ্যম জানার আগেই ভারতের “২৪ ঘন্টা” টিভিতে প্রচার করা হয় জেনারেল শাকিল সস্ত্রীক নিহত। অর্থাৎ মূল পরিকল্পনা অনুসারেই খবর প্রচার করে ভারতীয় গণমাধ্যম!
পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে বা আর্মির পদক্ষেপে শেখ হাসিনার জীবন বিপন্ন হলে তাকে নিরাপদে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতীয় ৩০ হাজার সৈন্য, ছত্রীবাহিনী ও যুদ্ধবিমান আসামের জোরহাট বিমানবন্দরে তৈরী রেখেছিলো ভারত। বিদ্রোহের দিন ভারতের বিমান বাহিনী IL-76 হেভি লিফ্‌ট এবং AN-32 মিডিয়াম লিফ্‌ট এয়ারক্রাফট নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পূর্ণ সহায়তা দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলো। ঐসময় প্রণব মুখার্জীর উক্তি মিডিয়ায় আসে এভাবে, “এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে সব ধরণের সহায়তা দিতে ভারত প্রস্তুত। … আমি তাদের উদ্দেশ্যে কঠোর সতর্কবাণী পাঠাতে চাই, যারা বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে, তারা যদি এ কাজ অব্যাহত রাখে, ভারত হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না, প্রয়োজনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে।”
২. শেখ হাসিনা : ভারতের এই পরিকল্পনাটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করা হয় বেশ আগেই। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নিমিত্তে ঘটনার ১ সপ্তাহ আগে তড়িঘড়ি করে প্রধানমন্ত্রীকে সুধাসদন থেকে সরিয়ে যমুনা অতিথি ভবনে নেয়া হয়, কেননা পিলখানার ডেঞ্জার এরিয়ার মধ্যে ছিল ওটা। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার মেরামত শেষ না হওয়া স্বত্ত্বেও ভারতের সিগনালে খুব দ্রুততার সাথে হাসিনাকে সুধাসদন থেকে সরানো হয়। এটা এক অসম্ভব ঘটনা। পিলখানা হত্যাকান্ডের পরিকল্পনায় বিরাট সংখ্যায় সেনা অফিসার হত্যা করা হবে, যেটা ১৯৭৫ সালে তার পিতৃ হত্যার একটা বদলা হিসাবে হাসিনার কাছে সুখকর ছিলো। এর মাধ্যমে বিডিআর নিশ্চিহ্ন হবে, টার্গেট করে বিপুল সংখ্যক সেনা অফিসার হত্যা করা হলে তাতে মূল সেনাবাহিনীর কোমর ভেঙ্গে যাবে। গোয়েন্দা খবর পেয়ে ২৫ তারিখে পৌনে ন’টার মধ্যেই এনএসআই ডিজি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করে- “পিলখানায় বিদ্রোহ হচ্ছে। ” প্রধানমন্ত্রী নিরব থাকেন! আক্রমনের পরে অফিসারদের SOS পেয়ে সকাল ১০টার মধ্যে র‌্যাবের একটি দল, এবং ১০.২৫ মিনিটে সেনাবাহিনীর একটি দল পিলখানার গেটে পৌছায়। কিন্তু শেখ হাসিনা কোনো অভিযান চালানোর অনুমতি দেয়নি। আশ্চয্যজনকভাবে তিনি সময় ক্ষেপন করতে থাকেন। আর এর মধ্যে ঘটতে থাকে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। খেয়াল করুন, সেনা অফিসাররা কোনো প্রতিরোধ করেনি, কাজেই কি কারনে বিডিআর সৈনিকরা অফিসারদের হত্যা করবে? এটা ছিল সুপরিকল্পিতভাবে সেনা অফিসার হত্যাকান্ড। সারাদিন হত্যাকান্ড চালানোর সুযোগ দিয়ে বিকালে শেখ হাসিনা হত্যাকারীদের সাথে বৈঠক করে তাদের সাধারন ক্ষমা ঘোষণা করেন। কিন্তু তিনি একবারও জানতে চাননি, ডিজি শাকিল কোথায়? কি বিস্ময়!! জেনারেল জাহাঙ্গীরের তদন্ত কমিটি শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের সুপারিশ করেছিল, যার ফলে হাসিনা ক্ষেপে গিয়ে ঐ রিপোর্ট ধামাচাপা দেন।
৩. গোয়েন্দা সংস্থা: ঢাকার দৈনিক প্রথম আলোর এক সাংবাদিক ঘটনার আগের দিন এটা জানার পর সে এনএসআইকে এই মর্মে অবহিত করে যে, পিলখানা য় বিদ্রোহের প্রস্তুতি চলছে যার সাথে বিডিআর ও আওয়ামীলীগের নেতারা জড়িত। এনএসআই থেকে উক্ত সাংবাদিককে বলা হয় বিষয়টা চেপে যেতে। ২৪ তারিখে প্রধানমন্ত্রীর পিলখানায় যাওয়ার আগের দিন পিলখানা অস্ত্রাগার থেকে ৩টি এসএমজি খোয়া যায়। তখন সেনা অফিসারদের দায়িত্ব দেয়া হয় অস্ত্রাগার পাহারায়। যদিও প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় উচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও গোয়েন্দাগিরি বহাল থাকে। নূন্যতম কোনো বিচ্যুতি ঘটলে প্রোগ্রাম বাতিল হয়। এত কিছু সত্তেও ২৪ তারিখে প্রধানমন্ত্রী সেখানে যান। মূলত: বিদ্রোহের আগাম বার্তা সেনাপ্রধান ম্ইন, ডিজিএফআই প্রধান মোল্লা ফজলে আকবর (ইনি হাসিনার এক সময়ের প্রেমিক ছিলেন), এনএসআই প্রধান মেজর জেনারেল মুনির, সিজিএস মেজর জেনারেল সিনা জামালী, বিডিআর কমিউনিকেশন ইনচার্জ লেঃ কর্নেল কামরুজ্জামান, ৪৪ রাইফেল’এর সিও শামস, মুকিম ও সালাম-এর জানা ছিল। কেননা ২৫ তারিখের আগেই দাবী দাওয়ার লিফলেটের কপি ডিজি শাকিল, এনএসআই ও সরকারের কাছে পৌছে। এমনকি মাঠ পর্যায়ের বহু সেক্টর কমান্ডাররা জানত, ২৫ তারিখে একটা ঘটনা ঘটবে। পরিকল্পনামত প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে ২৪ তারিখে জানিয়ে দেয়া হয়, প্রধানমন্ত্রী ২৬ তারিখের নৈশভোজে যাচ্ছেন না। এমন ঘটনা অতীত কখনও কখনো ঘটেনি!
৪. জেনারেল মইন উ আহমেদ: তৎকালীন সেনাপ্রধান ও ১/১১র প্রধান কুশীলব। ২০০৮ সালের গোড়ার দিকে ভারত সফর করে মইন চেয়েছিলেন পূর্ন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ভারতীয় সমর্থন। ভারত রাজী হয়নি, বরং আ’লীগকে ক্ষমতায় আনার লক্ষে মইনকে কাজ করতে বলে, বিনিময়ে সেফ প্যাসেজ পাবে কুশীলবরা। উপায়ান্তর না দেখে মইন রাজী হয় এবং ২৯ ডিসেম্বর পূর্বপরিকল্পিত ফলাফলের নির্বাচনে ক্ষমতার পালবদল ঘটায়। মইনের বদলে আসেন হাসিনা! ওয়ান ইলেভেনের খলনায়করা যে সব রাজনীতিবিদদের অত্যাচার করেছে, তাদের বিচারের জন্য ফেব্রুয়ারীর দ্বিতীয় সপ্তাহে সংসদে প্রবল দাবী ওঠে। তখন সেনাবাহিনীর চাপের মুখে জেনারেল মইন নিজে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সাথে সংসদ অফিসে। এরপর শেখ হাসিনা ধমকে দেন মখা আলমগীর, আবদুল জলিলদের, যাতে করে সেনাবাহিনীর বিচারের দাবী আর না তুলে। হাসিনা এ সময় হুশিয়ার করেন, “কিভাবে ক্ষমতায় এসেছি, সেটা কেবল আমিই জানি।” অন্যদিকে ঐ সময়ই ভারত তার প্লানমত এগিয়ে যায় বিডিআর অপারেশনে। মইনকে বলা হয় প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দিতে। মইন তার দু’বছরের অপকর্মের স্বাক্ষী আর্মি অফিসারদের আগে থেকেই পোষ্টিং দিয়ে জড়ো করে বিডিআরে। এদের নিধন করা হলে মইনের অপকর্মের সাক্ষী আর পাওয়া যাবে না। ফলে মইনের বিরাট প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল এই হত্যাযজ্ঞ। অন্যদিকে এত সেনা অফিসার নিহত হলে ১/১১ নিয়ে সেনাবাহিনী তথা মইনের বিরুদ্ধে রাজনীতিবিদরা আর মুখ খুলবে না। এতকাল আর্মির রদ্দিমালগুলো যেতো বিডিআরে। কিন্তু এবারে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র- পরিকল্পিতভাবে অনেক চৌকশ অফিসার একসাথে পাঠানো হয় বিডিআরে। পিলখানা হত্যাকান্ডের মাত্র ২ মাস আগে গুলজারকে ষ্টান্ড রিলিজ করে বিডিআরে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়। রাইফেলস সপ্তাহের আগেই কানাঘুসা শুরু হয়- ২৫ তারিখে বিদ্রোহ হবে। তাই অনেক অফিসার নানা অযুহাত দিয়ে ছুটিতে চলে যায়। সেনাপ্রধান মইনের পিলখানা হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত ছিল, যার প্রমান মেলে ঘটনার সাথে সাথেই আক্রান্ত ডিজি শাকিল ও অফিসাররা মইনকে ফোনে জানায়। মইন আশ্বাস দেন সেনা পঠাচ্ছি। অথচ তিনি কোনো ব্যবস্থা নেন নি, সময় ক্ষেপন করে হত্যার সুযোগ তৈরী করে দেয়। ম্ইন চলে যায় যমুনায় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে। তেজগাওয়ে এয়ারফোর্স রেডি, আর্মি রেডি সেনিাবাসে। কিন্তু হুকুম আসে না। বিকালে কিছু সেনা ও যানবাহন ধানমন্ডি পর্যন্ত পৌছে গেলেও অপারেশনের অনুমতি দেয়নি হাসিনা ও ম্ইন। ঘটনার ৪ দিন পরে ১ মার্চে হাসিনা সেনাকুঞ্জে গেলে মইন সেনা অফিসারদের ব্যাপক অসন্তোষের মুখে পরেন। এমনকি নিহতদের জানাজার সময় মইনকে চেয়ার তুলে মারতে যায় কেউ কেউ। উল্টো, সেনাকুঞ্জে যে সব সেনা অফিসার বিচার চেয়ে জোর গলায় বক্তৃতা করেছিল, প্রতিবাদ করেছিল- ভিডিও দেখে দেখে এমন প্রায় দু’শ জনকে চাকরীচ্যুত করেছে মইন অনেক অফিসারকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র মামলায় কারাদন্ডও দেয়া হয়েছে।
৫. সজীব ওয়াজেদ জয়: শেখ হাসিনার এই পুত্রটি আগে থেকেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপর ক্ষিপ্ত ছিলো। ২০০৮ সালের নির্বাচনের দেড় মাস আগে (১৯ নভেম্বর) হাসিনার উপদেষ্টা ও পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় তার Stemming the Rise of Islamic Extremism in Bangladesh শীর্ষক নিবন্ধে উল্লেখ করেন, জোট সরকারের আমলে সেনাবাহিনীতে ৩০% মাদ্রাসার ছাত্ররা ঢুকানো হয়েছে। এদের নির্মুল করে সেনাবাহিনী পূনর্গঠন করতে হবে। পিলখানায় বিপুল সেনা অফিসার হত্যা করা হলে সেনাবাহিনীতে ব্যাপক সংস্কার করা সহজ হবে, এবং নতুন নিয়োগ করা যাবে- এমন বিবেচনায় জয় ভারতীয় প্রস্তাবটি গ্রহন করেন। পিলখানা হত্যার পরে জয় দুবাই যান এবং সেখানে ঢাকা থেকে আগত হত্যাকারীদের নগদ পুরস্কৃত করেন বলে খবর প্রকাশ।
৬. শেখ ফজলে নূর তাপস: হাসিনার ফুফাত ভাই শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে এই তাপস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঘটনায় তার পিতা নিহত হয়। তাপস ঢাকা-১২র নির্বাচন করতে গিয়ে বিডিআর এলাকায় ৫ হাজার ভোট প্রাপ্তির লক্ষে ৪৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি তোরাব আলী’র মাধ্যমে বিডিআর নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে। তাপসকে নিশ্চয়তা দেয়া হয় যে, বিডিআর সকল সদস্য নৌকায় ভোট দিবে। তার বদলে তাপস আশ্বাস দিয়েছিল বিডিআরের দাবী দাওয়া মেনে নেয়ার ব্যবস্থা করবে। তাপসের বাসায় (স্কাই ষ্টার) বিডিআরের প্রতিনিধিরা এ নিয়ে একাধিক বৈঠক করে। এমনকি দাবীদাওয়া পুরন না হওয়ায় পিলখানা বিদ্রোহের আগের দিন তাপসকে সম্ভাব্য বিদ্রোহের কথা জানানো হয়। তাপস তাতে সম্মতি দেয় এবং তাদের সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেয়। পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য তাপসও এই ষড়যন্ত্রকে কার্যকর হিসাবে মনে করে। ২৪ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় ফজলে নুর তাপসের ধানমন্ডিস্থ বাসায় ২৪ জন বিডিআর হত্যাকারী চুড়ান্ত শপথ নেয়। তোরাব আলী ও তার ছেলে লেদার লিটন পরিকল্পনাকারীদেরকে গোপন আস্তানা ও যাবতীয় সহায়তা প্রদান করে। বিডিআর বিদ্রোহের পরের দিন বিকালে শেখ তাপসের ঘোষনা প্রচার করা হয়, যাতে করে পিলখানার ৩ মাইল এলাকার অধিবাসীরা দূরে সরে যান। আসলে এর মাধ্যমে খুনীদের নিরাপদে পার করার জন্য সেফ প্যাসেজ তৈরী করা হয়েছিল। তাপসের এহেন কর্মকান্ডের বদলা নিতে তরুন সেনা অফিসাররা পরবর্তীতে তাপসের ওপর হামলা করে, কিন্তু ব্যর্থ হয়। পরে ৫ চৌকস কমান্ডো অফিসার চাকরীচ্যুত হয়ে কারাভোগ করছে। বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে সেনা তদন্ত এড়াতে তাপস কিছুদিন গা ঢাকা দেয় বিদেশে।
৭. মীর্জা আজম: যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এই হুইপটি পিলখানার ঘটনাকালে বিদ্রোহীদের সাথে সেল ফোনে কথা বলতে শুনা যাচ্ছিল। সে হত্যাকারীদের সুনির্দিষ্টভাবে নির্দেশ দেয় কর্নেল গুলজারের চোখ তুলে ফেলতে এবং দেহ নষ্ট করে ফেলতে (এর অডিও রেকর্ড আছে), কেননা র‌্যাবের পরিচালক কর্নেল গুলজারের নেতৃত্বে জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমানকে ধরা হয়েছিল ও পরে ফাঁসি দেয়া হয়। শায়খ রহমান ছিল মির্জা আজমের দুলাভাই। আজম এভাবেই দুলাভাই হত্যার বদলা নেয় গুলজারকে হত্যা করে, এমনকি তার লাশও জ্বালিয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও ২০০৪ সালে নানক-আজমের ব্যবস্থাপনায় শেরাটন হোটেলের সামনে গানপাউডার দিয়ে দোতলা বাসে আগুন লাগিয়ে ১১ বাসযাত্রী পুড়িয়ে মারার ঘটনা তদন্ত করে এই গুলজারই নানক-আজমকে সম্পৃক্ত করে। এর প্রতিশোধেই গুলজারে শরীর এমন ভাবে নষ্ট করা হয়, যেনো কেউ চিনতে না পারে। ১৫ দিন পরে ডিএনএ টেষ্ট করে চিহ্নিত করা হয় গুলজারের লাশ।
৮. জাহাঙ্গীর কবির নানক: এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী। উনি বিডিআরের ঘাতকদের নেতা ডিএডি তৌহিদের ক্লাশমেট। বিডিআর ট্রাজেডির আগে থেকেই তৌহিদ যোগাযোগ রাখত নানকের সঙ্গে। ঘটনার দিন ২০৪ মিনিট কথা বলে তৌহিদ-নানক। ২৫ তারিখ বিকালে পিলখানার বিদ্রোহীদের নিয়ে শেখ হাসিনার কাছে গিয়ে মিটিং করিয়ে নিরাপদে ফেরত পাঠায় সে। ডিএডি তৌহিদকে বিডিআরের অস্থায়ী ডিজি ঘোষণা করে নানক। কর্নেল গুলজার হত্যায় মীর্জা আজমের সাথে নানক সরাসরি জড়িত। কেননা, র‌্যাবের পরিচালক গুলজারই তদন্ত করে উদঘাটন করে- শেরাটনের সামনে দোতলা বাস জ্বালিয়ে ১১ যাত্রী হত্যা করা হয় নানকের নির্দেশে। ২৫ তারিখে বেঁচে যাওয়া লে: কর্নেল মঞ্জুর এলাহী পালিয়ে ছিল ম্যানহোলে। তার স্বজনরা এসএমএস মারফত খবর পেয়ে নানকের সাহায্য চায়। উদ্ধার করার বদলে ঐ অফিসারটিকে খুঁজে বের করে হত্যা করায় নানক। এটা সেনানিবাসের সবাই জানে। সেনাবাহিনীর তদন্ত পর্ষদ এড়াতে তদন্তের সময় নানক হঠাৎ বুকের ব্যথার অযুহাতে চিকিৎসার কথা বলে অনেকদিন সরে থাকে সিঙ্গাপুরে। এ নিয়ে সেনা অফিসারদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ব্রিগেডিয়ার হাসান নাসিরকে চাকরীচ্যুত করে হাসিনা।
৯. সাহারা খাতুনঃ সুপরিকল্পিত বিডিআর ধংসযজ্ঞ সংগঠনের নিমিত্ত ভারতের পরামর্শে হাসিনার কেবিনেটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নিয়োগ করা হয় অথর্ব সাহার খাতুনকে। বিদ্রোহের দিন কোনো তৎপরতা ছিলো না সাহারার। বরং সেনা অভিযান ও পিলখানায় র‌্যাব ঢোকার অনুমতি চাইলে সাহারা খাতুন ‘না’ করে দেন। বিকালে বিদ্রোহীদের সাথে করে প্রেস ব্রিফিং করে এই মন্ত্রী। অথচ ডিজি শাকিলের কোনো খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করেননি। কারন সে সব জানত। বিদ্রোহীদের সাথে সমঝোতার পরে রাতে তিনি পিলখানায় যেতে চাননি। বরং আইজি নূর মোহাম্মদ তার মেয়েকে পিলখানা থেকে উদ্ধারের জন্য একাই অভিযান চালাতে উদ্যত হলে ঠেলায় পরে সাহারা যান পিলখানায়, তাও প্রধানমন্ত্রীর বুলেটপ্রুফ গাড়িতে চড়ে। তিনি বিডিআর অফিসারদের পরিবার পরিজন উদ্ধার না করে কেবল আইজিপি নুর মোহাম্মদের কন্যাকে উদ্ধার করেন। অথচ বাকী পরিবার ঐ রাতের আঁধারে নির্যাতিত হয়। সাহারা খাতুনের সাথে প্রধানমন্ত্রীর মেডিকেল টীমের এম্বুলেন্স ও রেড ক্রিসেন্টের এম্বুলেন্স পিলখানায় ঢুকে। এরপরে পিলখানার বাতি নিভিয়ে ঘাতকদের ঐ এম্বুলেন্সে করে পিলখানার বাইরে নিরাপদ যায়গায় সরানো হয়। তখনও অনেক অফিসার আহত হয়ে পিলখানা নানাস্থানে লুকিয়ে ছিলো। কিন্তু সাহারা এদের উদ্ধার করেনি। কর্নেল এমদাদ, কর্নেল রেজা্, আফতাব ও কর্নেল এলাহীকে সাহারা পিলখানা ত্যাগ করার পরে হত্যা করা হয়।
১০. শেখ সেলিম: শেখ হাসিনার ফুফাত ভাই। ১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ ঘটনায় সে ধরা পরেও রহস্যজনকভাবে বেঁচে যায়, কিন্তু তার ভাই শেখ মনি নিহত হয়। সেনাবাহিনীর ওপরে তারও রাগ ছিলো প্রচন্ড। তা ছাড়া ১/১১র পরে সেনারা ধরে নিয়ে যায়ে এই সেলিমকে, এবং ডিজিএফআই সেলে ব্যাপক নির্যাতন করে শেখ হাসিনার অনেক গোপন কথা, চাঁদাবাজি, বাসে আগুণ দেয়া সংক্রান্ত জবানবন্দী আদায় করে। এতে করে সেনাবাহিনীর ঐ সেটআপের উপর তার রাগ ছিল। বিডিআরের ঘটনার আগে বিদ্রোহী দলটি কয়েকদফা মিটিং করে শেখ সেলিমের সাথে। ১৩ ফেব্রুয়ারীতে শেখ সেলিমের বনানীর বাসায় এ ধরনের একটি মিটিং হয় বলে সেনা তদন্তে প্রমান পাওয়া গেছে।
১১. সোহেল তাজ: স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। শেখ সেলিমের বাসায় অনুষ্ঠিত মিটিংয়ে সোহেল যোগ দেয়। বিদেশী হত্যাকারীদেরকে নিরাপদে মধ্যপ্রাচ্য, লন্ডন ও আমেরিকায় পৌছানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল সোহেল তাজকে। জনগনকে ধোকা দেয়ার জন্য প্রচার করা ঘটনার সময় তাজ আমেরিকায় ছিল। এটি সম্পুর্ন মিথ্যা কথা। সে সময়ে তাজ ঢাকায়ই ছিল। ২৮ ফেব্রুয়ারী সন্ধায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে কয়েকজন হত্যাকারীসহ তাকে সিলেটে নিয়ে যাওয়া হয়, এবং সে রাতেই তাজ ওসমানী বিমানবন্দর থেকে হত্যাকারীদের সাথে নিয়ে বিদেশের পথে যাত্রা করে। সেই হেলিকপ্টারের একজন পাইলট ছিল লেঃ কর্নেল শহীদ। যাকে পরে হত্যা করা হয়, টাঙ্গাইলে রহস্যজনক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মেজর জেনারেল রফিকুল ইসলামের সাথে। এছাড়া বিমানের বিজি ফ্লাইট ০৪৯ দু’ঘন্টা বিলম্ব করে চারজন খুনী বিডিআরকে দুবাইতে পার দেয়া হয়। এ খবরটি মানবজমিন ছাপে ৩ মার্চ ২০০৯.
১২. কর্নেল ফারুক খান: তিনি ছিলেন পিলখানা বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তের লক্ষে গঠিত ৩টি কমিটির সমন্বয়কের দায়িত্বে। জনগণকে ধোকা দেয়ার জন্য প্রথমেই তিনি ঘোষণা করেন, পিলখানার ঘটনায় ইসলামী জঙ্গীরা জড়িত। এটা খাওয়ানোর জন্য সোবহান নামে এক লোককে ব্যবহারের চেষ্টা করা হয়। পরে কুলাতে না পেরে সেখান থেকে সরে আসেন। সেনাবাহিনীর তদন্তে অনেক সত্য কথা উঠে আসলেও তা আলোর মুখ দেখেনি এই ফারুক খানের জন্য। ধামাচাপা দেয়া হয় মূল রিপোর্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মূল রিপোর্ট বদল করে গোজামিলের রিপোর্ট তৈরী করান ফারুক খান।
১৩. হাজী সেলিম: লালবাগ এলাকার আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি। বিডিআর হত্যাকান্ডের সময় তিনি খুনীদের রাজনৈতিক সাপোর্ট দিয়েছেন। ফেব্রুয়ারীর মাঝামাঝি সময়ে হাজী সেলিম বেশ কিছু গোলাবারুদ ক্রয় করে, যা ভারতীয় খুনীরা প্রথমে ব্যবহার করে। ঘটনার দিন দুপুরে হাজী সেলিমের লোকেরা বিডিআর ৪ নং গেটে বিদ্রোহীদের পক্ষে মিছিল করে। ২৫ তারিখ রাতের আঁধারে পিলখানার বাতি নিভিয়ে দেয়াল টপকে সাধারন পোষাক পরে বিদ্রোহীরা লালবাগ এলাকা দিয়ে পালিয়ে যায় হাজী সেলিমের সিমেন্ট ঘাটকে ব্যবহার করে। হাজী সেলিমের সন্ত্রাসীরা স্থানীয় জনগনকে সেখান থেকে সরিয়ে রাখে। একটি বেসকারী টিভি চ্যানেল ২৫ তারিখ রাত ১টার সংবাদে উক্ত ঘটনার খবর প্রচার করে। সেই রিপোর্টে ঘটনার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য তুলে ধরে, যাতে বলা হয় যে, বেশ কিছু স্পীডবোর্টকে তারা আসা যাওয়া করতে দেখেছে; কিন্তু তারা কাছাকাছি যেতে পারেনি যেহেতু আওয়ামীলীগের কিছু কর্মীরা তাদেরকে সেদিকে যেতে বাধা দেয়।
১৪. তোরাব আলী ও তার ছেলে লেদার লিটন: আওয়ামীলীগের ৪৮ নং ওয়ার্ডের সভাপতি। ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে এ্বই তোরাব আলী বিডিআর বিদ্রোহীদের পরিচয় করিয়ে দেয় এমপি তাপসের সাথে। মূল পরিকল্পনায় তোরাব আলীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় স্থানীয় লজিষ্টিক সম্বয় সাধনের জন্য। তার বাড়িতেও বিদ্রোহীদের মিটিং হয়েছে। সে মূলত অবৈধ অস্ত্রের ডিলার। তার ছেলে সন্ত্রাসী লেদার লিটনের মাধ্যমে বিদ্রোহী বিডিআরদের পালিয়ে যাবার ব্যবস্থা করে। এ সংক্রান্ত খরচাদি আগেই তাকে দেয়া হয়। উক্ত লিটনকে ২ মাস আগে তাপস ও নানক জেল থেকে ছাড়িয়ে আনে। ২৫ ফেব্রুয়ারী রাত ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে স্পীড বোটযোগে হত্যাকারীদের বুড়িগঙ্গা নদী পার করিয়ে দেয় লেদার লিটন।
১৫. মহিউদ্দিন খান আলমগীর: পিলখানার ঘটনার সময় এই সাবেক আমলা ও জনতার মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা মখা মেতে উঠেন বিভৎস উল্লাসে। বার বার ফোন করে খোঁজ নেন বিদ্রোহীদের কাছে, এর অডিও রেকর্ড আছে। এমনকি নিহতদের লাশ গোপন করার জন্য এসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার হুকুমদাতা ছিলেন তিনি। যার বদৌলতে তাকে পরে প্রমোশন দেয়া হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীতে।
১৬. হাসানুল হক ইনু: বাংলাদেশের রাজনীতির অন্ধকার গলির নেতা। তিনি ১৯৭৫ সালে অনেক সেনা অফিসার হত্যা করেছেন কর্নেল তাহের বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড থেকে। ১৯৭৫ সাল থেকে অদ্যাবধি দেশে সংঘটিত সকল সামরিক অভ্যুত্থানে তার যোগসাজস রয়েছে। পিলখানা হত্যাযজ্ঞের সময় তিনি তার ঘনিষ্ট বিডিআরদের ফোন করে হত্যায় উৎসাহ যুগিয়েছেন, এবং তাদের পরামর্শ দিয়েছেন কি করে লাশ গোপন করতে হবে।
পাঁচ বছর হয়ে গেছে ৫৭ সেনা অফিসার সহ ৭৭ মানুষ হত্যার। বিডিআর বাহিনী বিলুপ্ত করা হয়েছে। ভারতীয় সহায়তায় বিজিবি গঠন করা হয়েছে, যারা এখন বিএসএফের সাথে ভাগাভাগি করে ডি্উটি করে! কয়েক হাজার বিডিআর সদস্যকে কোমরে দড়ি লাগিয়ে বিচারের প্যারেড করানো হয়েছে। জেল হয়েছে সবার। অন্যদিকে রাঘব বোয়লদের বিরুদ্ধে সাক্ষী গায়েব করতে ৫৩ জন বিডিআরকে পিটিয়ে হত্ো করা হয়েছে। কিন্তু ৫৭ সেনা হত্যার বিচার এখনো বাকী। যেনো তেনো কোনো বিচার চায়না সেনাবাহিনী। তাই হত্যা মামলাও আগাচ্ছে না। যতদিন লাগে লাগুক, হয় কঠিন বিচার হবে, নয়ত বদলা হবে, এটাই তাদের চাওয়া।।

পিলখানার হত্যাকান্ডের ৪ বছরঃ পেছন ফিরে তাকানো


আজ ২৫শে ফেব্রুয়ারী। মাত্র ৪ বছর আগে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিডিআর হেডকোয়ার্টারে রক্তক্ষয়ী যে ঘটনা ঘটে গেল, বাংলাদেশের ইতিহাসে এ রকম জিঘাংসাপূর্ণ, নির্মম ও লোমহর্ষক ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। এ হত্যা কান্ড কারা ঘটিয়েছে কি তাদের মিশন ছিল, তা আজো রহস্যাবৃত। মনে করা হয় দুনিয়ার কোন যুদ্ধেতো তো নয়েই, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও এতো সংখ্যক সেনাঅফিসার হত্যার ঘটনা ঘটেনি।
জাতী হিসেবে আমরা বড়ই আত্নোভোলা। তাই এনিয়ে পুরোনো কিছু টুকরো খবরের দিকে নজর দেওয়া যেতে পারে,


ছবিঃ নিহত সেনা অফিসারদের তালিকা

কিছু পুরোনো তথ্য
১.
জানাজার আগে মিডিয়ার সমালোচনা । বিডিআর সদর দপ্তরে নিহত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো• আবদুল বারী, কর্নেল মুজিবুল হক, কর্নেল মো• আনিসুজ্জামান, কর্নেল জাহিদ, লে• কর্নেল আবু মুসা মো• কায়সার, লে• কর্নেল এনায়েত এবং মেজর মিজানের জানাজা বাদ আসর ঢাকা সেনানিবাসের সেনা কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। এতে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ ও নিহত সেনা কর্মকর্তাদের আত্মীয়স্বজন অংশ নেন। জানাজার আগে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের সহকর্মী ও স্বজনরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিডিআর সদস্যদের জঘন্য অপরাধের বিচার দাবি করেন। এ ঘটনায় রাজনীতিবিদদের ভূমিকার সমালোচনা করে কয়েকজন তাদের সামনের সারিতে রেখে জানাজা পড়তে অস্বীকৃতি জানান। সাবেক সেনা কর্মকর্তারা তাদের কাছে এই প্রশ্ন রাখেন, কেন সেনাবাহিনীকে পিলখানায় সময়মত ঢুকতে দেয়া হলো না। কেন বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যদের পালানোর সুযোগ দেয়া হলো। তারা এমনও বলেন যে, সরকারের এসব লোকজনকে জানাজায় অংশ নিতে দিয়ে আমরা আমাদের সহকর্মীদের লাশের অমর্যাদা হতে দেবো না। কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা বিডিআরের ঘটনার পর পরিবেশিত সংবাদের জন্য গণমাধ্যমের কড়া সমালোচনা করেন। তারা বলেন, আর্মির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্যই যেন মিডিয়া সেখানে হাজির হয়েছিল। এসব ঘটনায় জানাজা কিছুটা বিলম্বিত হয়। আসরের নামাজের আগ মুহূর্তে মসজিদ প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রাজ্জাক। এ সময় কয়েকজনের আপত্তির মুখে তারা পেছনের সারিতে চলে যান। (মানব জমিন, ২৮/০২/২০০৯)


ছবিঃ বুট, হেলমেট ছাড়া অপারেশনে এরা কারা?

২.
বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী পাঠাতে চায় ভারত, কলকাতার টেলিগ্রাফ পত্রিকার খবর। বাংলাদেশে পিস মিশনের নামে সামরিক কিংবা আধা সামরিক বাহিনী পাঠানোর বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে ভারত। বিডিআর বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে কলকাতা-ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেসের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য ভারত বাংলাদেশে পিস মিশন পাঠানোর প্রস্তাব দিচ্ছে। নয়াদিল্লির অত্যন্ত উচ্চপর্যায়ের সূত্র টেলিগ্রাফকে এই তথ্য জানিয়েছে । শ্রীলঙ্কার পর বাংলাদেশেই হতে পারে ভারতের প্রথম আন্তর্জাতিক দ্বিপক্ষীয় পিস মিশন। উল্লেখ্য, রাজিব গান্ধীর সময় তামিল গেরিলাদের দমনের লক্ষ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষী বাহিনী শ্রীলঙ্কায় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল এবং বিপুলসংখ্যক হতাহতের পর তা পরিত্যক্ত হয়।

এমতাবস্থায় ঢাকা সম্মত হলে ভারত সরকার তার সেনাবাহিনী না পাঠিয়ে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স, রেলওয়ে প্রটেকশন ফোর্স কিংবা বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) বাংলাদেশে পাঠানোর বিষয়টিও বিবেচনা করতে পারে। এখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিডিআর’র ওপর ভরসা করতে পারছে না এবং বাংলাদেশ রাইফেলসও তাদের সেনাবাহিনীর অফিসারদের বিশ্বাস না করায় পিস মিশন পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিডিআর’র বদলে মৈত্রী এক্সপ্রেসের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে ভারতীয় কোনো সামরিক বা আধা সামরিক সংস্থা। (Daily Telegraph, Calcutta, ২৭.০২. ২০০৯)
Indian peace mission signalhttp://www.telegraphindia.com/1090227/jsp/frontpage/story_10599074.jsp

৩.
রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন (রাওয়া) পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, টকশো’তে কিছু কিছু ভাষ্যকার তাদের বক্তব্যে বাহিনীসমুহের মধ্যে এমন বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছেন, যা দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্হায় চিড় ধরানোর শামিল। রাওয়া এসব উস্কানিমুলক বক্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে। দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণাবলী দ্বারা এসব কর্মকর্তা বিডিআরকে সুসংগঠিত করে একটি বিশালায়তন প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করে সীমান্ত রক্ষায় অবদান রাখছে। এই অর্জিত সুনামকে বিনষ্ট করা ও বাহিনীকে নেতৃত্বশুন্য করার অপচেষ্টাই বর্তমান বিদ্রোহের সুত্রপাত বলে রাওয়ার সদস্যরা মনে করে। যারা টকশো কিংবা মিডিয়ার মাধ্যমে তথাকথিত ‘পুঞ্জীভুত ক্ষোভ’ শব্দটি ব্যবহার করে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য রাখছেন আমরা তাদের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সশন্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মিডিয়া কিংবা জনসমক্ষে মন্তব্য কিংবা আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ নেই। সশস্ত্র বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক এবং আধাসামরিক বাহিনী যুদ্ধকালীন সময়ে সশস্ত্র বাহিনীর অধীনে থেকে কাঁধে কাঁধ রেখে যুদ্ধ করে। কিছু কিছু ভাষ্যকার তাদের বক্তব্যে বাহিনীসমুহের মধ্যে এমন বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছেন, যা দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্হায় চিড় ধরানোর শামিল।(যুগান্তর, ২৮.০২.২০০৯)



ছবিঃ ঘাতকদের সাথে নানক, আজম, সাহারা আর তাপস

৪.
বিডিআর অস্ত্র সমর্পণ করলেও সেনাবাহিনীর সশস্ত্র অবস্থানের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ। পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিদ্রোহীরা অস্ত্র সমর্পণ করলেও সেনাবাহিনীর স্বশস্ত্র মহড়া ও অবস্থানের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভমিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্র ফেডারেশনের ব্যানারে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল হয়। এসময় তারা শেস্নাগান দেয় ‘বিডিআর ছাত্র ভাই ভাই, সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরে যাও’। (আমাদের সময়, ২৭.০২.২০০৯)... ইত্তেফাক রিপোর্ট বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পিলখানা বিডিআর সদর দফতরের তিন নম্বর গেটে শতাধিক বেসামরিক তরুণ ‘বিডিআর-জনতা ভাই ভাই’ বলে শেস্নাগান দিতে থাকে। তারা শেস্নাগান দিয়ে বিডিআর-এর দাবির সমর্থনে মিছিল বের করে। মিছিলটি নিউ মার্কেট হয়ে নিলক্ষেত মোড়ে আসলে অবস্থানরত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। তবে তিন নম্বর গেটে দফায় দফায় মিছিলকারীদের মধ্যে একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের দেখা যায়। তারা সেখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করে বলে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জানান। মিছিলকারীদের মাঝে মাঝে গেটে প্রহরারত বিদ্রোহীরা গুলিবর্ষণ করে উৎসাহ যোগাতে দেখা যায়। (ইত্তেফাক, ২৭.০২.২০০৯ )... উল্লেক্ষ্য ছাত্র ফেডারেশন একটি বামপন্থী ছাত্র সংগঠন, যারা প্রায়ই সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন আপত্তিকর তথ্য প্রচার করে থাকেন। ইত্তেফাক বিডি আর সদর দফতরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিক্ষোভকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ না করলেও অন্য জায়গায় লিখে বিদ্রোহী জওয়ান দের অনেকের মুখেই জয় বাংলা, জয় বংগবন্ধু শ্লোগান ছিল।

৫.
২৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ভারতের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘আউটলুকে’ ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সাবেক শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা বি-রমন বাংলাদেশের বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে এক নিবন্ধ লিখেছেন। ওই নিবন্ধে তিনি বাংলাদেশ রাইফেলসকে একটি ভয়ানক বাহিনী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বিডিআরকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আদলে গড়ে তোলা এবং সীমান্ত রক্ষায় তাদের দুর্দান্ত মনোভাব এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে বিভিন্ন যুদ্ধে নাস্তানাবুদ করার কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে তার লেখায়। বিডিআরকে সামগ্রিকভাবে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ দেয়া এবং তাদের কমান্ড কন্ট্রোল থাকায় সীমান্তে তারা বিএসএফকে তোয়াক্কা করে না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বি রমন বরাইবাড়ী যুদ্ধে বিডিআর’র স্মরণীয় যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ২০০১ সালের এপ্রিল মাসে ওই ঘটনা যখন ঘটে, তখন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ছিলেন। কিন্তু বিডিআর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৫ সদস্যকে হত্যা করার ওই ঘটনার তিনি কোনো বিচার করেননি। বি রমন বলেন, বাংলাদেশের সেনা গোয়েন্দা সংস্থার সরাসরি তত্ত্বাবধানে বিডিআর এবং অন্যান্য বাহিনী পরিচালিত হয়। নিবন্ধে বলা হয়, সীমান্তে সর্বদা পাহারারত থাকায় বিডিআর’র সদস্যদের মধ্যে ভারতের প্রতি বিরূপ মনোভাব কাজ করে। (weekly outlook and saag paper no. 3072, 27.02.2009)
দেখুন এখানে, http://www.southasiaanalysis.org/papers31/paper3072.html



ছবিঃ সারাসারি লাশ আর লাশ

৬.
উদ্ধার পাওয়া এক সেনাকর্মকর্তা একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন, এ ঘটনার পেছনে বিদেশী শক্তির হাত রয়েছে। কারণ, এসব ঘটনা ঘটেছে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, তাৎক্ষণিক কোনো ক্ষোভ থেকে নয়। সেনাকর্মকর্তাদের লাশের সাথে যে অসম্মান ও পৈশাচিকতা দেখানো হয়েছে কোনো সাধারণ জওয়ানের পক্ষে এ ধরনের কাজ করা অসম্ভব। এগুলো করা হয়েছে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে। প্রতিশোধস্পৃহা থেকে। বিডিআর’র প্রতি কাদের এই প্রতিশোধস্পৃহা তা এ দেশের মানুষ জানেন। বেসরকারি চ্যানেল দিগন্ত টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক সেনাশাসক এইচ এম এরশাদ বলেন, যারা এতগুলো সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে তারা কোন স্থান দিয়ে কিভাবে পালিয়ে গেলো? তাদেরকে কেন কেউ চিনতে পারলো না? এমনকি কেউ সন্দেহ করল না যে, হত্যাকারীরা বাইরের লোক। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, এ ঘটনার পেছনে একটি আন্তর্জাতিক চক্রান্ত রয়েছে। এটা সরকারকে খুঁজে বের করতে হবে। (আরটিএনএন, ০১.০৩.২০০৯)

৭.
লক্ষণীয় দিক হলো, বিডিআর মহাপরিচালকের মৃত্যুর খবর দেশী সংবাদমাধ্যম কিংবা রয়টার্স, এপি, এএফপি’র মতো সংবাদ সংস্থার আগে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা-সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি প্রথম প্রকাশ করে। ২৫ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশের কোন সংবাদ মাধ্যম এবং ২৬ ফেব্রুয়ারী কোন পত্রিকাই বিডিআর এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল সহ দরবার হলে উপস্থিত ১৬৮ জন কর্মকর্তার ভাগ্যে কি ঘটেছে সে ব্যপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে না পারলেও ঘটনার মাত্র ৪ ঘন্টা পরেই নয়াদিল্লি টিভি (এনডিটিভি) দুপুর ২ টার নিউজ এ নিশ্চিত ভাবে প্রচার করে যে বিডিআর এর বিদ্রোহে মেজর জেনারেল শাকিল সহ ১৫ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। দেশের সরকার, গনমাধ্যম নিশ্চিত করে এ সম্পর্কিত কোন তথ্য দিতে না পারলেও দেশের বাইরের একটি মিডিয়া কি করে তা নিশ্চিত করল সেটি একটি বড় প্রশ্ন।

৮.
উদ্ধার পাওয়া সেনাকর্মকর্তা মেজর জায়েদি বলেছেন, ঘটনাস্থল থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জেনারেল তারেকের সাথে কথা বলেছেন এবং এরপর বিডিআর’র ডিজি প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেন। বিডিআর’র ডিজি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, আপনি তাদের আশ্বস্ত করুন। তারা যেন গুলি না করে। আমরা সব দাবিদাওয়া মেনে নেবো। (প্রথম আলো ২৭ ফেব্রুয়ারি ’০৯ http://www.prothom-alo.net/V1/archive/news_details_home.php?dt=2009-02-27&issue_id=1204&nid=MjIyMTg=) মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা সেনা কর্মকর্তা লে• কর্নেল কামরুজ্জামান বর্ণনা ঘটনার বর্ননা দেন এভাবে ‘অবস্থা বেগতিক দেখে ডিজি মহোদয় সিএনের সঙ্গে কথা বললেন, প্রধানমন্পীর সঙ্গে কথা বললেন, ডিজি-র্যাবের সঙ্গে কথা বললেন। আমিও ব্যক্তিগতভাবে আর্মি হেডকোয়ার্টারের অপারেটরের সঙ্গে কথা বললাম। তারা সবাই বলল- আসছি। কিন্তু সেই আসতেই শুনলাম, কেউ আর এলো না। আমরা বাধ্য হয়ে তখন স্দ্বেজের পেছনে গ্রিনরুমে গেলাম। তখনো ওরা হলের ভেতরে ঢোকেনি। বাইরে থেকেই গুলি করছিল।’ (সমকাল, ২৮/০২/২০০৯)





ছবিঃ সিসিটিভিতে ধারন করা বিডি আর হত্যাকান্ডের কিছু ছবি

৯.
৭২ সালে বিডিআর বিদ্রোহ নিরসনের দায়িত্ব পেয়েছিলেন আব্দুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদ। ১৯৭২ সালে সদ্য স্বাধীন দেশে বিডিআরের সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহ করেছিল জওয়ানরা। বিক্ষুব্ধ জওয়ানদের শান্ত করতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিডিআর সদর দপ্তরে ছুটে গিয়েছিলেন। সংকট নিরসনে সরকারের পক্ষ থেকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদকে। সেদিনের বিডিআর বিদ্রোহের কারণে রক্ষী বাহিনীর জন্ম হয়েছিল। এক পর্যায়ে তাদের বিক্ষোভ তীব্র হয়ে ওঠে। বেশ কয়েকজন বিডিআর অফিসার আহত হয়েছিলেন বিক্ষুব্ধ জওয়ানদের হাতে। (আমাদের সময়, ২৭.০২.২০০৯)

১০.
বিদ্রোহের আগে রাতভর মিটিং, গড়ে তোলা হয় গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক । আগের রাতে বিডিআর জওয়ানরা রাতভর মিটিং করেন। কোথায় তারা অবস্থান নেবেন, কে কোন স্থানে অপারেশন চালাবেন­ সবই ঠিক হয় রাতের মিটিংয়ে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সকাল থেকে যে যার অবস্থানে চলে যান। সুবেদার শহীদের দায়িত্ব ছিল দরবার হলে ঘটনার সূত্রপাত করে দেয়া। এর আগেই সকাল ৭টায় তারা অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র লুট করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ওয়্যারলেস সিস্টেমও সকাল থেকে বিদ্রোহীরা তাদের দখলে নিয়ে নেন। এমনকি তাদের নিজেদের মধ্যে একটি গোয়েন্দা নেটওয়ার্কও গড়ে তোলেন। সাধারণ জওয়ানরা তাদের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলেও মূল গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ছিল অন্ধকারে। (নয়া দিগন্ত, ২৭.০২.২০০৯) দেখুন এখানে,http://www.dailynayadiganta.com/2009/02/27/fullnews.asp?News_ID=131291&sec=1


ছবিঃ হাতের মেহেদীর দাগ তখনো শুকায়নি, প্রিয়জন হারানোর বেদনা

১১.
বিডিআর এর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনাবেল (অব.) ফজলুর রহমান বলেন, বিডিআর প্রতিনিধির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী যখন বসলেন তখন প্রধানমন্ত্রী বলতে পারতেন, ডিজি কোথায় আছে, তাকে নিয়ে আসো। সেনা কর্মকর্তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা জানতে চাওয়া উচিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী বলতে পারতেন, দুই ঘণ্টার মধ্যে ডিজিসহ সব সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারকে জিম্মি অবস্হা থেকে ফেরৎ দিয়ে অস্ত্র সমর্পণ করলেই সাধারণ ক্ষমা কার্যকর হবে। বড়জোর সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় দেয়া যেত। নিঃশর্ত সাধারণ ক্ষমার কারণে হয়তোবা বিডিআর জওয়ানরা প্রশ্রয় পেয়ে পরবর্তীতে আরো খুন, লুটতরাজ ও সেনা পরিবারের সদস্যদের নিগৃহীত করেছে।(আমার দেশ, ০২/০৩/২০০৯)
প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করে বের হয়ে আসছেন ঘাতক দলের নায়ক ডিআইডি তৌহিদ
http://www.youtube.com/watch?v=2OfS0nlCs2M&feature=related

১২.
নিহত সেনাকর্মকর্তাদের সহকর্মী ও সহপাঠীদের সূত্রে জানা যায়, তাদের প্রায় সকলেই ছিলেন মেধাবী, চাকুরীক্ষেত্রে সফল ও চৌকস এবং ধর্মভীরু। এদের বেশির ভাগই সীমান্তে বিএসএফ এর দূর্বৃত্তপনা থেকে দেশের সীমান্তকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে ছিলেন অতন্দ্রপ্রহরী। গত ১ ফেব্রুয়ারী কলকাতা কনফারেন্স ২০০৯ নামে কলকাতার সুবাস ইন্সটিটিউটে বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের একটি অংগ সংগঠনের ৪র্থ বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। সম্মেলনের অন্যতম আকর্ষন ছিল, সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির প্রযোজিত ডকুমেন্টারী “মানুষ না মালাউন”?ডকুমেন্টারীর ধারা বিবরনীতে বলা হয় বাংলাদেশে সংঘটিত সকল নির্যাতন নিপিড়নের জন্য দায়ী হচ্ছে, বর্বর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, সেনাবাহিনী ও এর গোয়েন্দা সংস্থা। ইসলাম ও সেনাবাহিনীকে উতখাত করতে না পারলে এ সংকটের সমাধা হবে না। এ ব্যপারে ভারত সহ সকল আন্তর্জাতিক শক্তির সহযোগিতা চাওয়া হয়।






ছবিঃ হত্যাকান্ডের ঠিক আগের মুহুর্তের কিছু বিরল ছবি

১৩.
বিমানের ফ্লাইট দু’ঘণ্টা বিলম্বিত, ৪ বিদ্রোহী চলে গেল বিদেশে । বিডিআর বিদ্রোহে অংশ নেয়া চার জওয়ান অপারেশন শেষ করার ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে জিয়া আন্তôর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের পালাতে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি সহায়তা করেছেন বলেও সেনারা জানতে পেরেছেন। ওইসব বিদ্রোহী বিমানে উঠেছে একেবারে বোর্ডিং ব্রিজ থেকে উড়োজাহাজ ছেড়ে যাওয়ার কয়েক মিনিট আগে। নিরাপদে তাদের বিমানবন্দরের সকল গেট পার করে তুলে দেয়ার পর ওই উড়োজাহাজটি ঢাকা ছাড়ে। এ জন্য উড়োজাহাজটি দুই ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে যায়। ২রা মার্চ সকাল ন’টায় বিমানের বিজি-০৪৯ ফ্লাইটটি ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও উড্ডয়ন করেছে ১১টা ২৫ মিনিটে। পলাতকদের ব্যাপারে জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে তথ্য নিশ্চিত করা হচ্ছে। র্যা বের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল রেজানুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারাও বিষয়টি জানতে পেরেছেন। তাই ওই ফ্লাইটের যাত্রীদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থায় ওই চার জন সৌদি আরব গেছেন বলে জানা গেছে। তিনি বলেন, আমরা তাদের পুরো পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর প্রয়োজনে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবো। তাদের ব্যাপারে আমাদের কাছে বিভিন্ন তথ্য রয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হলে তাদের নাম প্রকাশ করা হবে। ওই সূত্র জানায়, তারা জানতে পেরেছেন পিলখানায় অপারেশন শেষে নিরাপদে দেশ ছাড়ার ব্যবস্থা আগে থেকেই করা হয়। এ জন্য আগে থেকেই তাদের পাসপোর্ট ও ভিসা সংগ্রহ করা হয়। পলাতক ওই চার ব্যক্তি সম্পর্কে বিডিআরের কিছু রেকর্ডপত্র দেখে ও অন্য বিদ্রোহীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছেন। (মানব জমিন, ০৫/০৩/২০০৯)

১৪.

ছবি: কর্নেল গুলজার: স্মৃতিতে অম্লান
একটি বিশেষ জায়গা নিরাপদে রেখে সুযোগ বুঝে বিদেশ পাঠানো হচ্ছে । সূত্র জানায়, শুরুতে পিলখানা অপারেশনে অংশ নেয়া বিদ্রোহী জওয়ানদের সদর দপ্তর থেকে বের করার ব্যবস্থা করেন প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। পরে অন্য আরেক ব্যক্তিসহ তাদের নিরাপদে পালিয়ে যাওয়ার জন্য সব রকম ব্যবস্থাই করা হয়। পালিয়ে যাওয়ার পর তাদের একটি গোপন স্থানে রেখে পরে সুযোগ বুঝে দেশের বাইরে পাঠানো হয়। ঘটনার পর পরই বিডিআরের কোন বিদ্রোহী যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে সে জন্য সকল বিমানবন্দর, স্থল বন্দর ও অন্যান্য সীমান্তে কড়া নজরদারি বসানো হলেও বিদ্রোহীদের একটি অংশ পালিয়ে যেতে সড়্গম হয়। এ খবরটি সেনারা পাওয়ার পর তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন- কে তাদেরকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন। ওইদিন শুরুতে অপারেশনে অংশ নেয়া বিদ্রোহীদের এখন খুঁজে বেড়াচ্ছে র্যা ব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। তাদের ধরতে বিভিন্ন জায়গায় চলছে অপারেশন রেবেল হান্ট। (মানব জমিন, ০৫/০৩/২০০৯)

হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দেয়া হলো যেভাবে
http://www.prothom-alo.net/V1/archive/news_details_home.php?dt=2009-02-26&issue_id=1203&nid=MjIxOTY=

ঘাতক যখন আলোচনার টেবিলে
http://www.youtube.com/watch?v=2OfS0nlCs2M&feature=related

এটাকে পুঞ্জিভুত ক্ষোভ বলেছিল যারা,
http://www.prothom-alo.net/V1/archive/news_details_home.php?dt=2009-02-26&issue_id=1203&nid=MjIxOTk=

আগে থেকে কবর খোড়া হয়?
http://www.dailynayadiganta.com/2009/02/28/fullnews.asp?News_ID=131464&sec=1

বিডিআর প্রধান জেনারেল শাকিলের বাসায় ঘটানো নৃশংসতা
http://www.youtube.com/watch?v=Bf82SlNq2Rw&feature=related

আর্মি অফিসার পরিবারের উপর চালানো হয় নির্যাতন, লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকার ভাষ্য
http://www.guardian.co.uk/world/2009/feb/28/bangladesh-soldiers-death-toll/print


বি ডি আর হত্যাকান্ডের সেই গোপনীয় অধ্যায়গুলো
http://www.nagorikblog.com/blog/1806

PEELKHANA CONSPIRACY
http://deshcalling.blogspot.com/2009/09/peelkhana-conspiracy.html

“বিডিআর হত্যাকান্ডের সেই গোপনীয় অধ্যায়গুলো”, [ A complete online reference] ১.৫ম সংস্করণ
http://bangladesh2075.wordpress.com/2011/02/23/bdr/

“বিডিআর হত্যাকান্ডের সেই গোপনীয় অধ্যায়গুলো”, [ A complete online reference] ১.৫ম সংস্করণ
http://bangladesh2075.files.wordpress.com/2011/02/bdr2.pdf

Officers of Bangladesh Army met Sheikh Hasina at Sena Kunja following her suspicious mishandling of BDR Pilkhana massacre in February 2009
http://www.4shared.com/get/LtLYhflk/bdr.html

মেজর মোকারম বর্ননা করছে সেদিনের ঘটনা
http://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=2_NDOTf1qvc

আরো কিছু নৃশংসতা
http://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=B3qTs7FdhOM

পিলখানায় নিহত সেনা অফিসারদের তালিকা
http://www.cadetcollegeblog.com/muhammad/4962

শহীদদের জন্য দুটি গান

সেনাবাহিনী কতৃক বিডিআর ঘটনার প্রকাশিত আংশিক রিপোর্ট
  • আমার দেশ
সরকারি তদন্ত রিপোর্টের অপ্রকাশিত তথ্য
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/05/25/33484

বিডিআর বিদ্রোহ : সরকারি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ১
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/05/26/33530

বিডিআর বিদ্রোহ : সরকারি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ২
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/05/27/33675

বিডিআর বিদ্রোহ : সরকারি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ৩
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/05/28/33850

বিডিআর বিদ্রোহ : সরকারি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ৪
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/05/29/34009

বিডিআর বিদ্রোহ : সরকারি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ৫
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/05/31/34335

বিডিআর বিদ্রোহ : সরকারি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ৬
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/06/01/34481

Amar Desh Newspaper closed by Bangladesh Government : Amardesh Declaration cancelled police trying to arrest editor from office but journalists protest and try to defend him
http://www.amardeshonline.com/pages/latestnews/2010/06/02/438
BDR Mutiny and Massacre
http://www.savebd.com/articles/bdr-mutiny-and-massacre/

কিছু আলোচিত কলাম
  • ফরহাদ মজহার
  1. http://www.sonarbangladesh.com/article.php?ID=610
  2. http://www.sonarbangladesh.com/article.php?ID=647
  • ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী
http://www.sonarbangladesh.com/article.php?ID=608
  • ড. মাহবুব উল্লাহ
http://www.sonarbangladesh.com/article.php?ID=626
  • মিনার রশীদ
http://www.sonarbangladesh.com/article.php?ID=649

২০০৮ নির্বাচনের আগে Sajeeb Wazed Joy and Carl Ciovacco এর পরিকল্পনা
  • Awami Conspiracy Against BD Army & Islam
http://www.youtube.com/watch?v=zYpa7aUedrU
  • Stemming the Rise of Islamic Extremism in Bangladesh
http://hir.harvard.edu/stemming-the-rise-of-islamic-extremism-in-bangladesh

এ ঘটনা যারাই ঘটাক না কেন, কিছু বিষয় পরিস্কার। এটা পরিকল্পিত। বাইরের শক্তি যারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দূর্বল করতে চায়, যারা বাংলাদেশের সসস্ত্র বাহিনী দূর্বল করে সেই সুযোগে নিজেদের সেনাবাহিনী পাঠাতে চায়, যারা দেশটিড় রক্ষাকবজ ইসলাম ও সেনাবাহিনীকে মুখোমুখী করতে চায়, আমরা মনে করি তারাই এই নারকীয় হত্যাকান্ডের মূলহোতা, এতে কোন সন্দেহ নেই।